দাঁতের ব্যথা একটি অত্যন্ত কষ্টদায়ক সমস্যা। হঠাৎ দাঁতে ব্যথা শুরু হলে খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে স্বাভাবিক কাজকর্মও অসহনীয় হয়ে ওঠে। সার্বিক সুস্থ স্বাস্থ্যের সাথেও সরাসরি যুক্ত।দাঁত ব্যথা সাধারণত ক্যাভিটি, দাঁতে ফাঁপ, মাড়ির সংক্রমণ, দাঁতের ভাঙন বা দাঁতের নার্ভে ইনফেকশন হওয়ার কারণে হয়। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু ঘরোয়া উপায়ে আরাম পাওয়া সম্ভব।
![]() |
দাঁত ব্যথা থেকে মুক্তি |
দাঁত ব্যথার সাধারণ কারণসমূহ
দাঁতে গর্ত বা ক্যাভিটি
-
দাঁতের স্নায়ুতে ইনফেকশন
-
মাড়ি ফুলে যাওয়া বা প্রদাহ
-
দাঁত ভাঙা বা ফাটল
-
দাঁতে শক্ত খাবার আটকে যাওয়া
-
দাঁত বা মাড়ির উপর টার্টার জমা হওয়া
দাঁত ব্যথা থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়
-
লবণ পানি দিয়ে কুলকুচি
গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করলে দাঁত ও মাড়ির ব্যথা কমে এবং জীবাণু ধ্বংস হয়।লবণ পানি দিয়ে কুলকুচি
-
লবঙ্গের তেল ব্যবহার
লবঙ্গ বা লবঙ্গের তেল প্রাকৃতিক ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। তুলোতে কয়েক ফোঁটা লবঙ্গ তেল নিয়ে ব্যথাযুক্ত দাঁতে লাগালে আরাম মেলে।লবঙ্গের তেল ব্যবহার
-
বরফ সেঁক
দাঁতের ব্যথা যদি ফোলা বা প্রদাহজনিত হয় তবে বরফ দিয়ে সেঁক দিলে সাময়িক আরাম পাওয়া যায়।বরফ সেঁক
-
রসুন
রসুনে প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে। এক টুকরো রসুন চিবিয়ে খেলে দাঁতের জীবাণু কমে এবং ব্যথা প্রশমিত হয়।রসুন
-
পুদিনা পাতা বা চা ব্যাগ
ঠান্ডা করা পুদিনা চা ব্যাগ বা পুদিনা পাতার রস দাঁতের ব্যথা কমাতে সহায়ক।পুদিনা পাতা বা চা ব্যাগ
দাঁত ব্যথা প্রতিরোধের উপায়
-
প্রতিদিন অন্তত দুইবার দাঁত ব্রাশ করুন।
-
ফ্লস ব্যবহার করে দাঁতের ফাঁকে খাবার পরিষ্কার করুন।
-
অতিরিক্ত মিষ্টি বা কোল্ড ড্রিঙ্ক পরিহার করুন।
-
নিয়মিত দন্তচিকিৎসকের কাছে দাঁত পরীক্ষা করুন।
কখন ডাক্তার দেখাবেন
-
দাঁতের ব্যথা যদি ২–৩ দিনের বেশি স্থায়ী হয়।
-
দাঁতের পাশে মাড়ি ফুলে গেলে বা পুঁজ বের হলে।
-
ব্যথার কারণে ঘুম ও খাওয়া-দাওয়া কষ্টকর হলে।
👉 দাঁতের ব্যথা প্রাথমিকভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে সামলানো গেলেও সঠিক চিকিৎসার জন্য দন্তচিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া সবচেয়ে জরুরি।